time
Welcome to Our Website!

নির্বাচনের ঢেউ তুলতে নতুন কৌশলে বিএনপি

 নির্বাচনের ঢেউ তুলতে নতুন কৌশলে বিএনপি

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণাসহ নানা দাবিতে সারা দেশে সমাবেশ করতে যাচ্ছে


বিএনপি। সারা দেশে জাতীয় নির্বাচনের ঢেউ তুলতে চায় দলটি। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে জনদাবির ব্যানারে এই প্রথমবারের মতো মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচিতে নামছে। এসব সমাবেশে মূলত প্রধান ফোকাস থাকবে কেন দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার, সেসব যুক্তি ও বাস্তবতা তুলে ধরা। এছাড়া ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও চলমান পরিস্থিতিতে জনগণকে সতর্ক থাকতে দিকনির্দেশনামূলক বার্তাও দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ৬৭ সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশ হবে। কাল একযোগে নয় জেলায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিক এ কর্মসূচি শুরু 


দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণাসহ নানা দাবিতে সারা দেশে সমাবেশ করতে যাচ্ছে


বিএনপি। সারা দেশে জাতীয় নির্বাচনের ঢেউ তুলতে চায় দলটি। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে জনদাবির ব্যানারে এই প্রথমবারের মতো মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচিতে নামছে। এসব সমাবেশে মূলত প্রধান ফোকাস থাকবে কেন দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার, সেসব যুক্তি ও বাস্তবতা তুলে ধরা। এছাড়া ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও চলমান পরিস্থিতিতে জনগণকে সতর্ক থাকতে দিকনির্দেশনামূলক বার্তাও দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ৬৭ সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশ হবে। কাল একযোগে নয় জেলায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিক এ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।


Advertisement


সমাবেশে যোগ দিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও যুগ্ম মহাসচিব পদমর্যাদার সিনিয়র নেতারা তৃণমূলে যাচ্ছেন। কর্মসূচি সফল করতে বিভাগীয় সাংগঠনিক, সহসাংগঠনিক এবং সংশ্লিষ্ট জেলার কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলার পর দ্বিতীয় ধাপে পর্যায়ক্রমে মহানগর ও বিভাগীয় সদরে সমাবেশ করবে। শেষ সমাবেশটি হতে পারে ঢাকা মহানগরে। রমজানের আগেই এ কর্মসূচি শেষ করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যুগান্তরকে বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা ও রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে ১২ ফেব্রুয়ারি (কাল) থেকে সমাবেশ শুরু হবে। শেষ হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি এ কর্মসূচি। ৬৭ সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশের পর পর্যায়ক্রমে মহানগর ও বিভাগীয় সদরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’


বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল যুগান্তরকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে জনগণ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণ আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে আছেন-দেশের এই পরিস্থিতিতে আমাদের দল কী ভূমিকা রাখে। তাই সময়ের প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করছি, দেশের বর্তমান অবস্থায় দলের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কিছু বার্তা জনগণকে দেওয়া দরকার। এই বার্তা দেওয়ার জন্য সারা দেশে বিএনপির সব সাংগঠনিক জেলা-মহানগরে সমাবেশ করব। জনগণকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরব এবং দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাব। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যে আগামীর উন্নয়নশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে বিগত দিনে এই দল এত ত্যাগ শিকার করে আসছে। এত অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে এ পর্যন্ত এসেছে। এর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে চাই। এসব সমাবেশ সফল করতে ঢাকা বিভাগের জেলাসহ তৃণমূল পর্যন্ত প্রস্তুতি সভাসহ যা যা করা দরকার তা করছি।’


চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দাবি করে আসছে বিএনপি। দলটি মনে করে, জুলাই-আগস্টেই নির্বাচন করা সম্ভব। জানা গেছে, চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন তা সমাবেশে তুলে ধরবেন সিনিয়র নেতারা। একই সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশেও ভোটারদের আস্থায় রাখতে দেওয়া হবে নানা বার্তা। এক্ষেত্রে আগামী নির্বাচন ও দেশ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরার কথা রয়েছে।


জনগণ যাতে বিএনপির ওপর আস্থা ধরে রাখে সেজন্য এখন থেকেই নানা কর্মকাণ্ড শুরু করার আহ্বানও থাকবে। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবে না বিএনপি-এ কথা জানিয়ে চলমান পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষ যেন সুযোগ নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকার জন্য বার্তা দেওয়া হবে। কোনো নেতাকর্মী, সে যত বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন, অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হলে জানামাত্রই বহিষ্কার করা হবে-দলীয় এমন সিদ্ধান্তের কথাও সমাবেশে তুলে ধরবে সিনিয়র নেতারা। এছাড়া বিএনপির বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে-এমন অভিযোগ করে সে বিষয়ে সজাগ থেকে যথাযথ 


দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণাসহ নানা দাবিতে সারা দেশে সমাবেশ করতে যাচ্ছে


বিএনপি। সারা দেশে জাতীয় নির্বাচনের ঢেউ তুলতে চায় দলটি। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে জনদাবির ব্যানারে এই প্রথমবারের মতো মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচিতে নামছে। এসব সমাবেশে মূলত প্রধান ফোকাস থাকবে কেন দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার, সেসব যুক্তি ও বাস্তবতা তুলে ধরা। এছাড়া ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও চলমান পরিস্থিতিতে জনগণকে সতর্ক থাকতে দিকনির্দেশনামূলক বার্তাও দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ৬৭ সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশ হবে। কাল একযোগে নয় জেলায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিক এ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।


Advertisement


সমাবেশে যোগ দিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও যুগ্ম মহাসচিব পদমর্যাদার সিনিয়র নেতারা তৃণমূলে যাচ্ছেন। কর্মসূচি সফল করতে বিভাগীয় সাংগঠনিক, সহসাংগঠনিক এবং সংশ্লিষ্ট জেলার কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলার পর দ্বিতীয় ধাপে পর্যায়ক্রমে মহানগর ও বিভাগীয় সদরে সমাবেশ করবে। শেষ সমাবেশটি হতে পারে ঢাকা মহানগরে। রমজানের আগেই এ কর্মসূচি শেষ করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যুগান্তরকে বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা ও রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে ১২ ফেব্রুয়ারি (কাল) থেকে সমাবেশ শুরু হবে। শেষ হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি এ কর্মসূচি। ৬৭ সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশের পর পর্যায়ক্রমে মহানগর ও বিভাগীয় সদরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’


বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল যুগান্তরকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে জনগণ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণ আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে আছেন-দেশের এই পরিস্থিতিতে আমাদের দল কী ভূমিকা রাখে। তাই সময়ের প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করছি, দেশের বর্তমান অবস্থায় দলের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কিছু বার্তা জনগণকে দেওয়া দরকার। এই বার্তা দেওয়ার জন্য সারা দেশে বিএনপির সব সাংগঠনিক জেলা-মহানগরে সমাবেশ করব। জনগণকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরব এবং দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাব। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যে আগামীর উন্নয়নশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে বিগত দিনে এই দল এত ত্যাগ শিকার করে আসছে। এত অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে এ পর্যন্ত এসেছে। এর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে চাই। এসব সমাবেশ সফল করতে ঢাকা বিভাগের জেলাসহ তৃণমূল পর্যন্ত প্রস্তুতি সভাসহ যা যা করা দরকার তা করছি।’


চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দাবি করে আসছে বিএনপি। দলটি মনে করে, জুলাই-আগস্টেই নির্বাচন করা সম্ভব। জানা গেছে, চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন তা সমাবেশে তুলে ধরবেন সিনিয়র নেতারা। একই সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশেও ভোটারদের আস্থায় রাখতে দেওয়া হবে নানা বার্তা। এক্ষেত্রে আগামী নির্বাচন ও দেশ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরার কথা রয়েছে।


জনগণ যাতে বিএনপির ওপর আস্থা ধরে রাখে সেজন্য এখন থেকেই নানা কর্মকাণ্ড শুরু করার আহ্বানও থাকবে। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবে না বিএনপি-এ কথা জানিয়ে চলমান পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষ যেন সুযোগ নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকার জন্য বার্তা দেওয়া হবে। কোনো নেতাকর্মী, সে যত বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন, অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হলে জানামাত্রই বহিষ্কার করা হবে-দলীয় এমন সিদ্ধান্তের কথাও সমাবেশে তুলে ধরবে সিনিয়র নেতারা। এছাড়া বিএনপির বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে-এমন অভিযোগ করে সে বিষয়ে সজাগ থেকে যথাযথ জায়গা থেকে জবাব দিতেও আহ্বান থাকবে।


Advertisement


বিএনপি নির্বাচন


 সম্পর্কিত খবর

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনে আপত্তি নেই সরকারের

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনে আপত্তি নেই সরকারের

ঐক্যবদ্ধ ছাড়া কোনো মুক্তির পথ নেই: দুদু

ঐক্যবদ্ধ ছাড়া কোনো মুক্তির পথ নেই: দুদু

নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত

নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত

দেশব্যাপী নির্বাচনের ঢেউ তুলতে চায় বিএনপি

দেশব্যাপী নির্বাচনের ঢেউ তুলতে চায় বিএনপি

‘শ্রমজীবী মানুষ এ দেশের প্রত্যেকটা আন্দোলন-লড়াইয়ে জীবন দিয়েছেন’

‘শ্রমজীবী মানুষ এ দেশের প্রত্যেকটা আন্দোলন-লড়াইয়ে জীবন দিয়েছেন’

প্রধান উপদেষ্টাকে ৪ পৃষ্ঠার চিঠি, যা লিখল বিএনপি

প্রধান উপদেষ্টাকে ৪ পৃষ্ঠার চিঠি, যা লিখল বিএনপি

Jamuna Electronics

 আরও পড়ুন

দেশে ফিরলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা মুন্না

দেশে ফিরলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা মুন্না

ঐক্যবদ্ধ ছাড়া কোনো মুক্তির পথ নেই: দুদু

ঐক্যবদ্ধ ছাড়া কোনো মুক্তির পথ নেই: দুদু

দেশব্যাপী নির্বাচনের ঢেউ তুলতে চায় বিএনপি

দেশব্যাপী নির্বাচনের ঢেউ তুলতে চায় বিএনপি

‘শ্রমজীবী মানুষ এ দেশের প্রত্যেকটা আন্দোলন-লড়াইয়ে জীবন দিয়েছেন’

‘শ্রমজীবী মানুষ এ দেশের প্রত্যেকটা আন্দোলন-লড়াইয়ে জীবন দিয়েছেন’

wholesaleclub

শেষ পাতা


৬৭ সাংগঠনিক জেলার সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি


দেশব্যাপী নির্বাচনের ঢেউ তুলতে চায় বিএনপি

কাল থেকে শুরু, যোগ দেবেন ৩৮ সিনিয়র নেতা * সমাবেশ থেকে জানানো হবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, থাকবে জরুরি নানা বার্তা




সারা দেশে জাতীয় নির্বাচনের ঢেউ তুলতে চায় বিএনপি। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণাসহ নানা দাবিতে সারা দেশে সমাবেশ করতে যাচ্ছে দলটি। এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে জনদাবির ব্যানারে এই প্রথমবারের মতো মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচিতে নামছে। এসব সমাবেশে মূলত প্রধান ফোকাস থাকবে কেন দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দরকার, সেসব যুক্তি ও বাস্তবতা তুলে ধরা। এছাড়া ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও চলমান পরিস্থিতিতে জনগণকে সতর্ক থাকতে দিকনির্দেশনামূলক বার্তাও দেওয়া হবে। প্রথম ধাপে ৬৭ সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশ হবে। কাল একযোগে নয় জেলায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিক এ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।


সমাবেশে যোগ দিতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও যুগ্ম মহাসচিব পদমর্যাদার সিনিয়র নেতারা তৃণমূলে যাচ্ছেন। কর্মসূচি সফল করতে বিভাগীয় সাংগঠনিক, সহসাংগঠনিক এবং সংশ্লিষ্ট জেলার কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। জেলার পর দ্বিতীয় ধাপে পর্যায়ক্রমে মহানগর ও বিভাগীয় সদরে সমাবেশ করবে। শেষ সমাবেশটি হতে পারে ঢাকা মহানগরে। রমজানের আগেই এ কর্মসূচি শেষ করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যুগান্তরকে বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা ও রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে ১২ ফেব্রুয়ারি (কাল) থেকে সমাবেশ শুরু হবে। শেষ হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি এ কর্মসূচি। ৬৭ সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশের পর পর্যায়ক্রমে মহানগর ও বিভাগীয় সদরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।’


বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল যুগান্তরকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে জনগণ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। জনগণ আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে আছেন-দেশের এই পরিস্থিতিতে আমাদের দল কী ভূমিকা রাখে। তাই সময়ের প্রেক্ষাপটে আমরা মনে করছি, দেশের বর্তমান অবস্থায় দলের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কিছু বার্তা জনগণকে দেওয়া দরকার। এই বার্তা দেওয়ার জন্য সারা দেশে বিএনপির সব সাংগঠনিক জেলা-মহানগরে সমাবেশ করব। জনগণকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরব এবং দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাব। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যে আগামীর উন্নয়নশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে বিগত দিনে এই দল এত ত্যাগ শিকার করে আসছে। এত অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে এ পর্যন্ত এসেছে। এর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে চাই। এসব সমাবেশ সফল করতে ঢাকা বিভাগের জেলাসহ তৃণমূল পর্যন্ত প্রস্তুতি সভাসহ যা যা করা দরকার তা করছি।’


চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দাবি করে আসছে বিএনপি। দলটি মনে করে, জুলাই-আগস্টেই নির্বাচন করা সম্ভব। জানা গেছে, চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় কেন জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন তা সমাবেশে তুলে ধরবেন সিনিয়র নেতারা। একই সঙ্গে সম্ভাব্য প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশেও ভোটারদের আস্থায় রাখতে দেওয়া হবে নানা বার্তা। এক্ষেত্রে আগামী নির্বাচন ও দেশ নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরার কথা রয়েছে। জনগণ যাতে বিএনপির ওপর আস্থা ধরে রাখে সেজন্য এখন থেকেই নানা কর্মকাণ্ড শুরু করার আহ্বানও থাকবে। এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবে না বিএনপি-এ কথা জানিয়ে চলমান পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষ যেন সুযোগ নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকার জন্য বার্তা দেওয়া হবে। কোনো নেতাকর্মী, সে যত বড় প্রভাবশালীই হোক না কেন, অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হলে জানামাত্রই বহিষ্কার করা হবে-দলীয় এমন সিদ্ধান্তের কথাও সমাবেশে তুলে ধরবে সিনিয়র নেতারা। এছাড়া বিএনপির বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে-এমন অভিযোগ করে সে বিষয়ে সজাগ থেকে যথাযথ জায়গা থেকে জবাব দিতেও আহ্বান থাকবে।


সমাবেশে যোগ দেবে ৩৮ সিনিয়র নেতা : এদিকে সমাবেশের দিনক্ষণ ও কেন্দ্রীয় নেতারা কে কোন জেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেবেন তার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দিন বুধবার (কাল) বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাট, নজরুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জ, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ফেনী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ খুলনা, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ড. আসাদুজ্জামান রিপন রাজবাড়ী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল পটুয়াখালী, আরিফুল হক চৌধুরী সুনামগঞ্জ, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল জামালপুর। ১৭ ফেব্রুয়ারি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যশোর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান টাঙ্গাইল, বেগম সেলিমা রহমান মাদারীপুর, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু চাঁদপুর, শামসুজ্জামান দুদু ঠাকুরগাঁও, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বগুড়া, আরিফুল হক চৌধুরী মৌলভীবাজার, জহির উদ্দিন স্বপন ভোলা। ১৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু পাবনা, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু পঞ্চগড়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক কুমিল্লা দক্ষিণ, আবুল খায়ের ভূঁইয়া ঝিনাইদহ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মানিকগঞ্জ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি হবিগঞ্জ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স নেত্রকোনা। ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী নোয়াখালী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সিলেট, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান কিশোরগঞ্জ, মিজানুর রহমান মিনু কুষ্টিয়া, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার শরীয়তপুর, মজিবুর রহমান সারোয়ার পিরোজপুর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রাজশাহী। ২০ ফেব্রুয়ারি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায়, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী লক্ষ্মীপুর, সেলিমা রহমান বরিশাল দক্ষিণ, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ময়মনসিংহ দক্ষিণ, ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন ফরিদপুর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান চুয়াডাঙ্গা, মিজানুর রহমান মিনু নওগাঁ, আবদুস সালাম কুড়িগ্রাম। ২২ ফেব্রুয়ারি ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন ঝালকাঠি, আহমেদ আজম খান চট্টগ্রাম দক্ষিণ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ময়মনসিংহ উত্তর, হারুনুর রশীদ জয়পুরহাট, মাহবুব উদ্দিন খোকন কুমিল্লা উত্তর, আসলাম চৌধুরী বান্দরবান, আবুল খায়ের ভূঁইয়া রংপুর, যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ নরসিংদী। ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মুন্সীগঞ্জ, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বরিশাল উত্তর, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী নড়াইল, আহমেদ আজম খান নাটোর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশীদ গাইবান্ধা, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল রাঙামাটি, আবদুস সালাম আজাদ মাগুরা, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সৈয়দপুর। ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নারায়ণগঞ্জ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গাজীপুর, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু চট্টগ্রাম উত্তর, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু বাগেরহাট, নিতাই রায় চৌধুরী সাতক্ষীরা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দিনাজপুর, আমান উল্লাহ আমান মেহেরপুর, জয়নুল আবদিন ফারুক নীলফামারী, মনিরুল হক চৌধুরী খাগড়াছড়ি, আবদুস সালাম চাঁপাইনবাবগঞ্জগা থেকে জবাব দিতেও আহ্বান থাকবে।।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post