আমাকে আর দরকার না হলে বিকল্প আছে
কংগ্রেস নেতা তথা কেরালার তিরুবনন্তপুরের সংসদ সদস্য শশী থারুর সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন, তিনি কংগ্রেসের জন্য সর্বদা প্রস্তুত, তবে যদি দল তাকে প্রয়োজন না মনে করে, তাহলে তার হাতে বিকল্প রয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, এক সংবাদমাধ্যমে এমনই মন্তব্য করেছেন তিনি।
থারুর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেরালার পিনারাই বিজয়ন নেতৃত্বাধীন এলডিএফ সরকারের প্রশংসা করে বেশ কিছু ‘বিতর্ক’ সৃষ্টি করেছেন। তিনি কেরালার সরকারের উদ্যোগগুলোকে প্রবৃদ্ধিমূলক ও উদ্যোক্তাবান্ধব বলে উল্লেখ করেন, যা কংগ্রেসের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
অন্যদিকে থারুর প্রধানমন্ত্রী মোদির আমেরিকায় ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠককে ভারতের বৃহত্তর স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রশংসা করেছিলেন, যা কংগ্রেসের মধ্যে অনেকে মেনে নিতে পারেনি।
কংগ্রেসের সঙ্গে শশী থারুরের দূরত্ব নিয়ে জল্পনা চলছে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই। এরই মাঝে এবার সেই জল্পনায় ইন্ধন ঢেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা পোস্ট করলেন শশী থারুর। নিজের পোস্টে শশী থারুর লেখেন, ‘আজকের দিনের বার্তা–যেখানে অজ্ঞতা সুখ, সেখানে জ্ঞানী হওয়া বোকামি’।
এরপর দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বার্তা দিয়ে শশী থারুর একটি সমীক্ষার প্রসঙ্গে তুলে ধরেন। সেই সমীক্ষায় দাবি করা হয়, কেরালায় কংগ্রেসের অন্যান্য নেতার থেকে জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে শশী থারুর।
এর আগে সম্প্রতি একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, দলে নিজের ভূমিকা কী হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার জন্য রাহুল গান্ধিকে বলেছিলেন শশী। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নাকি বৈঠক করে বেশ কিছু অভিযোগ জানান তিনি। কিন্তু কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সেসব নিয়ে তেমন কোনো গুরুত্ব দেননি বলে সূত্রের খবর।
এর জেরে গান্ধিদের সঙ্গে শশী থারুরের দূরত্ব আরও বেড়েছে। এর আগে দলের ভেতরে গান্ধিদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করা দলের অন্যতম মুখ ছিলেন শশী থারুর। এরপর দলের সভাপতি নির্বাচনে মল্লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন শশী। তবে তিনি হেরে যান। যদিও এরপরে তাঁকে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে টিকিট দিয়েছিল দল। নিজের আসন ধরেও রেখেছিলেন শশী। তবে এরপরও দলে সেই অর্থে গুরুত্ব বাড়েনি থারুরের। তিনি কোণঠাসাই থেকে গিয়েছেন।
এর মধ্যেই সম্প্রতি আবার নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফর নিয়ে দলের বিপরীত অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন শশী থারুর। তিনি মোদির প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘সরকার যখন কোনো ভালো কাজ করে, তখন তার প্রশংসা করা উচিত। তা সে ক্ষমতায় যেই দলই থাকুক না কেন। আমি নিজে ১৬ বছর ধরে রাজনীতিতে আছি। আমি এই নীতিই অনুসরণ করেছি। সরকার খারাপ করলে তখন তার বিরুদ্ধে বলা উচিত। আর আমি যদি সব সময়ই সরকারের প্রশংসা করতাম, তাহলে আমার কথাকে কেউ গুরুত্ব দেবে না। এবং আমি যদি সবসময় সমালোচনা করি, তাহলেও আমার কথার গুরুত্ব কমে যাবে।’
শশী বলেন, ‘গণতন্ত্রে সবসময় দেওয়া-নেওয়ার নীতি থাকতে হৃয়। ওয়াশিংটন একতরফা ভাবে আমাদের ওপরে শুল্ক চাপিয়ে দিতে পারত। সেটার জেরে আমাদের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হত। তবে আমার মনে হয়েছে, এই সফরে ভালো কিছু অর্জন করা গিয়েছে। তাই ভারতীয় হিসেবে আমি তা স্বাগত জানাব।’
বিশ্বরাজনীতিভারতবিজেপিনরেন্দ্র মোদিকংগ্রেস
এ সম্পর্কিত
বোমা হামলার হুমকি, দিল্লিগামী ফ্লাইটের রোমে জরুরি অবতরণ
এক কিংবা দুটো নয়, ভারতে ইউএসএআইডির প্রকল্প সাতটি
ইউএসএআইডিকে সরল বিশ্বাসে কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল: জয়শঙ্কর
ওষুধের নামে আফিম পাচার করছে ভারতীয় কোম্পানি!
সর্বশেষ
আগের দিন করেছিলেন মন জয়, আজ ২৪ বলে ৭ করে আউট হৃদয়
ইসরায়েলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ নেতাদের জানাজা, বৈরুতে বিশাল শোকসভা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
ডেভিল হান্টের মত কী নতুন কোন অভিযান চালু হবে?
আরও
পঠিত
নির্বাচিত
‘আমি পদত্যাগ করতে রাজি’
এলিফ্যান্ট রোড থেকে ঢাবি ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার, হেফাজতে বুটেক্স শিক্ষার্থী
স্টুডিওতে ছবি তুলতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রী
‘আমরা আর ইন্ডাস্ট্রি করতে ইন্টারেস্টেড না’
কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে অতর্কিত হামলা: আইএসপিআর
আরও
প্রধান সম্পাদক ও সিইও : এম শামসুর রহমান
ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন লিমিটেড
বিনোদন
হলিউড
টলিউড
ঢালিউড
বলিউড
ওটিটি
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
জীবনযাপন
অন্দরসজ্জা
ফ্যাশন
বিউটি
ভ্রমণ
খাওয়াদাওয়া
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
গবেষণা
গ্যাজেট
বিজ্ঞান
সোশ্যাল মিডিয়া
eঅন্যদিকে থারুর প্রধানমন্ত্রী মোদির আমেরিকায় ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠককে ভারতের বৃহত্তর স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রশংসা করেছিলেন, যা কংগ্রেসের মধ্যে অনেকে মেনে নিতে পারেনি।
কংগ্রেসের সঙ্গে শশী থারুরের দূরত্ব নিয়ে জল্পনা চলছে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই। এরই মাঝে এবার সেই জল্পনায় ইন্ধন ঢেলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা পোস্ট করলেন শশী থারুর। নিজের পোস্টে শশী থারুর লেখেন, ‘আজকের দিনের বার্তা–যেখানে অজ্ঞতা সুখ, সেখানে জ্ঞানী হওয়া বোকামি’।
এরপর দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বার্তা দিয়ে শশী থারুর একটি সমীক্ষার প্রসঙ্গে তুলে ধরেন। সেই সমীক্ষায় দাবি করা হয়, কেরালায় কংগ্রেসের অন্যান্য নেতার থেকে জনপ্রিয়তার নিরিখে এগিয়ে শশী থারুর।
এর আগে সম্প্রতি একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, দলে নিজের ভূমিকা কী হবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়ার জন্য রাহুল গান্ধিকে বলেছিলেন শশী। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে নাকি বৈঠক করে বেশ কিছু অভিযোগ জানান তিনি। কিন্তু কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সেসব নিয়ে তেমন কোনো গুরুত্ব দেননি বলে সূত্রের খবর।
এর জেরে গান্ধিদের সঙ্গে শশী থারুরের দূরত্ব আরও বেড়েছে। এর আগে দলের ভেতরে গান্ধিদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করা দলের অন্যতম মুখ ছিলেন শশী থারুর। এরপর দলের সভাপতি নির্বাচনে মল্লিকার্জুন খাড়গের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন শশী। তবে তিনি হেরে যান। যদিও এরপরে তাঁকে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে টিকিট দিয়েছিল দল। নিজের আসন ধরেও রেখেছিলেন শশী। তবে এরপরও দলে সেই অর্থে গুরুত্ব বাড়েনি থারুরের। তিনি কোণঠাসাই থেকে গিয়েছেন।
এর মধ্যেই সম্প্রতি আবার নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফর নিয়ে দলের বিপরীত অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন শশী থারুর। তিনি মোদির প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘সরকার যখন কোনো ভালো কাজ করে, তখন তার প্রশংসা করা উচিত। তা সে ক্ষমতায় যেই দলই থাকুক না কেন। আমি নিজে ১৬ বছর ধরে রাজনীতিতে আছি। আমি এই নীতিই অনুসরণ করেছি। সরকার খারাপ করলে তখন তার বিরুদ্ধে বলা উচিত। আর আমি যদি সব সময়ই সরকারের প্রশংসা করতাম, তাহলে আমার কথাকে কেউ গুরুত্ব দেবে না। এবং আমি যদি সবসময় সমালোচনা করি, তাহলেও আমার কথার গুরুত্ব কমে যাবে।’
শশী বলেন, ‘গণতন্ত্রে সবসময় দেওয়া-নেওয়ার নীতি থাকতে হৃয়। ওয়াশিংটন একতরফা ভাবে আমাদের ওপরে শুল্ক চাপিয়ে দিতে পারত। সেটার জেরে আমাদের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হত। তবে আমার মনে হয়েছে, এই সফরে ভালো কিছু অর্জন করা গিয়েছে। তাই ভারতীয় হিসেবে আমি তা স্বাগত জানাব
Post a Comment