কক্সবাজারে বিমান বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত কীভাবে?
কক্সবাজারের বিমান বাহিনীর ঘাঁটি সংলগ্ন সমিতি পাড়ায় বাহিনীটির সদস্যদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজনের মৃত্যু ও কয়েকজনের হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পর ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।কক্সবাজারের সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সবুক্তাগিন মাহমুদ সোহেল বিবিসি বাংলাকে একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, তার শরীরে থেঁতলে যাওয়া আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবেছুড়ে বিমানবাহিনীর সদস্যরা।
ওই সময়ের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, এই গুলি ও সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নাহিদ নামে এক যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ গাজীপুরে ডিসি কার্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীকে গুলি
ওই ঘটনার পর বিকেল তিনটার দিকে আটককৃত তরুণ জাহেদকে ছেড়ে দেয়া হয়। তাকেও মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতি পাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে।
এদিকে বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “কক্সবাজার ফ্লুইড সিচুয়েশন। কক্সবাজারের এসপি ও সিকিউরিটি এজেন্সির কাছ থেকে রিপোর্টগুলো চাচ্ছি। তারা আমাদেরকে দিলে আপনারা জানবেন।”
স্থানীয় দুইজন গণমাধ্যমকর্মী বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার পর কক্সবাজারে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।।

Post a Comment