Yসহবাস শেষে বী' র্য বাহিরে ফেললে কি গুনাহ হবে, ইসলাম কি বলে জেনে নিন? বিস্তা:রিত ক'মেন্টে..
Yসহবাস শেষে বী' র্য বাহিরে ফেললে কি গুনাহ হবে, ইসলাম কি বলে জেনে নিন? বিস্তা:রিত ক'মেন্টে..
ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে সহবাস (মৈথুন) ও বিবাহিত দম্পতির যৌন আচরণ বিষয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা রয়েছে। আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন—সহবাস শেষে বীর্য বাহিরে ফেলা (ejaculation outside after intercourse)—এটা মূলত ইসলামিক পরিভাষায় "আজল (العزل)" নামে পরিচিত।
🔹 "আজল" বা বীর্য বাহিরে ফেলা বিষয়টি কী?
আজল মানে হলো সহবাসের সময় স্ত্রী গর্ভবতী না হয় সেই উদ্দেশ্যে বীর্য বাহিরে ফেলা। একে আজকাল "withdrawal method" বা "coitus interruptus" ও বলা হয়।
🔹 হাদিস ও সাহাবীদের অভিজ্ঞতা থেকে:
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে সাহাবিরা আজল করতেন এবং তারা এর বিষয়ে জানতে চাইতেন।
নিম্নোক্ত হাদিসটি এখানে প্রাসঙ্গিক:
جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ ﷺ، فَقَالَ: إِنَّ لِي جَارِيَةً، وَأَنَا أَعْزِلُ عَنْهَا، وَأَكْرَهُ أَنْ تَحْمِلَ، وَأَنَا أُرِيدُ مِنْهَا مَا يُرِيدُ الرِّجَالُ، وَإِنَّهَا تُرِيدُ مَا تُرِيدُ النِّسَاءُ، فَقَالَ: إِنَّمَا الْمَاءُ مِنَ الْمَاءِ.
"একজন ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকট এসে বললেন, আমার এক দাসী আছে, আমি তার সাথে সহবাস করি এবং আমি বীর্য বাহিরে ফেলি যেন সে গর্ভবতী না হয়..."
(সহীহ মুসলিম)
এই হাদিস ও আরও অনেক হাদিস থেকে বুঝা যায়, রাসুল (সা.) এটি নিষেধ করেননি, বরং বিষয়টি নিরুৎসাহিত করেছেন যদি স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া হয়।
✅ ইসলামে আজল বৈধ কি না?
✔ বৈধ:
স্ত্রীর সম্মতিতে
কোন বৈধ কারণ থাকলে (যেমন পরিবার পরিকল্পনা, স্ত্রীর অসুস্থতা, ইত্যাদি)
কিন্তু তা স্থায়ী পদ্ধতি (যেমন বন্ধ্যাকরণ বা স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ) নয়।
❌ গুনাহ/হারাম কখন?
স্ত্রীর অজান্তে বা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে করলে
ব্যভিচার বা হারাম সম্পর্কে এটি করলে
ব্যবহার করে, কিন্তু এতে সন্দেহ বা হারাম উদ্দেশ্য জড়িত থাকলে
🔹 সারসংক্ষেপ:
বিষয় ইসলাম কী বলে
সহবাসের পর বীর্য বাহিরে ফেলা (আজল) বৈধ, তবে স্ত্রীর সম্মতি থাকতে হবে
স্থায়ী বন্ধ্যাকরণ সাধারণত হারাম
স্ত্রীর অজান্তে বা প্রতারণামূলকভাবে গুনাহ
স্ত্রীর ইচ্ছায় ও বৈধ কারণে জায়েজ
🟢 উপসংহার:
ইসলামে সহবাস শেষে বীর্য বাহিরে ফেলাকে সরাসরি হারাম বলা হয়নি। তবে এটি নির্ভর করে নিয়ত, পদ্ধতি ও পারস্পরিক সম্মতির ওপর। সঠিক উদ্দেশ্যে, স্ত্রীর সম্মতিতে করলে এটা গুনাহ নয়। তবে প্রতারণামূলক বা অবৈধ উদ্দেশ্যে হলে তা গুনাহ হতে পারে।
আপনি চাইলে এই বিষয়ে আরও নির্দিষ্ট ফতোয়া বা মাযহাবভিত্তিক মত জানতে পারেন। বললে আমি হানাফি/শাফিই/মালিকি মতানুসারে আলাদা ব্যাখ্যা দিতেও পারি।
Comments
Post a Comment