১৪ দেশের হুঁশিয়ারি, সামুদ নৌবহরে হামলা হলে আস্ত থাকবে না ইসরাইল

ভোরের আলো ফোটার আগেই তিউনিসিয়ার শান্ত সমুদ্রবন্দর সিদি বু সাইদে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। হাতে পতাকা আর চোখে আশা নিয়ে শত শত মানুষ জড়ো হয়েছিলেন, যাদের সবার একটাই পরিচয়—’গ্লোবাল সামুদ ফ্লোটিলা’র সদস্য। তাদের গন্তব্য অবরুদ্ধ গাজা, যেখানে তারা ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে চান। এই যাত্রা শুরুর আগেই দুইবার হামলার শিকার হয়েও তারা থেমে যাননি।
১৫ দেশের যৌথ বিবৃতি ও সতর্কবার্তা
এই ফ্লোটিলা যাত্রা শুরুর খবর পেয়ে মঙ্গলবার ১৬টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, তুরস্ক, স্পেন, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, পাকিস্তান, কাতার, ওমান, স্লোভেনিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সবাই একই কণ্ঠে বলেছেন যে ফ্লোটিলার ওপর কোনো অবৈধ বা সহিংস আক্রমণ বরদাস্ত করা হবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বহর মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজায় যাচ্ছে এবং একই সাথে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা সম্পর্কে বিশ্বকে সচেতন করছে। আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে সম্মান জানানো এবং শান্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়া এই বহরের মূল লক্ষ্য।
চ্যালেঞ্জের মুখেও অনড় ফ্লোটিলা
এই যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না। সপ্তাহখানেক আগেই ড্রোন হামলায় দুটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং আরও কিছু নৌকা নিরাপত্তা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। ফলে টিউনিসিয়া থেকে বহর ছাড়তে ১১ দিন দেরি হয়। হামলার দায় কেউ সরাসরি স্বীকার না করলেও, সন্দেহের তীর ইসরায়েলের দিকেই।
আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে মন্ত্রীদের বিবৃতিতে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, যদি আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌযানগুলোর ওপর হামলা হয় বা যাত্রীদের বেআইনিভাবে আটকানো হয়, তবে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
Post a Comment