time
Welcome to Our Website!

এক যুবতি ও জিনের প্রেমের সত্যি ঘটনা

 খুন

ঠিক আছে, আমি তোমাকে এক বাস্তবসম্মত ও কাহিনীর মতো সাজানো এক যুবতি ও জিনের প্রেমের ঘটনা লিখে দিচ্ছি:


এক যুবতি ও জিনের প্রেমের সত্যি ঘটনা

ময়মনসিংহ জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে থাকতো সায়মা নামের এক যুবতি। বয়স তখন সবে আঠারো। মেয়েটি ছিলো ভীষণ শান্ত স্বভাবের, তবে মাঝে মাঝেই পরিবার লক্ষ্য করতো – সে একা একা কারো সাথে কথা বলে, যেন কারো উপস্থিতি অনুভব করছে।

প্রথমে পরিবার ভেবেছিল হয়তো মনের ভুল। কিন্তু ধীরে ধীরে বিষয়টা অদ্ভুত হতে শুরু করে। সায়মা রাতের বেলা আঙিনায় দাঁড়িয়ে কারো সাথে ফিসফিস করে কথা বলত। জিজ্ঞেস করলে বলতো – “আমি এক বন্ধুর সাথে কথা বলছি।”

এক রাতে হঠাৎ তার ছোট বোন তাকে জিজ্ঞেস করে বসে – “আপু, তুমি কার সাথে কথা বল?” তখন সায়মা লাজুক হাসি দিয়ে উত্তর দেয় –
“সে মানুষ না… সে জিন। কিন্তু ভয়ের কিছু নেই। সে আমাকে কষ্ট দিতে আসে না, বরং ভালোবাসে।”

সায়মার বলা অনুযায়ী, এক রাতে সে ঘুমোচ্ছিলো। তখন স্বপ্নে এক ছায়ামূর্তি এসে জানায়, তার নাম “আফরান”। সে এক জিন, দীর্ঘদিন ধরে সায়মাকে দেখছে এবং ভালোবেসে ফেলেছে। প্রথমে সায়মা ভয় পেয়েছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে আফরানের সাথে কথা বলতে অভ্যস্ত হয়ে যায়।

আফরান তাকে প্রতিশ্রুতি দেয় –
“আমি তোমাকে কোনোদিন কষ্ট দেবো না। সবসময় রক্ষা করবো। তোমার কষ্ট হলে আমি টের পাই।”

সময় গড়াতে গড়াতে সায়মা সত্যিই অদ্ভুত ঘটনা টের পেতে থাকে। রাতে কেউ দরজার বাইরে ডাকলে দেখা যায় সেখানে কেউ নেই। বিপদে পড়লে হঠাৎ যেন সাহায্য চলে আসে। ধীরে ধীরে সে বিশ্বাস করে যে জিনের প্রেমটা সত্যি।

তবে এই সম্পর্ক গোপন থাকেনি। পরিবার যখন বুঝতে পারে, তারা ভীষণ চিন্তিত হয়ে স্থানীয় একজন হুজুরকে ডাকে। হুজুর তাবিজ-দোয়া পড়ে বলে দেন –
“মানুষ আর জিনের প্রেম কখনো সফল হয় না। কারণ দু’জন ভিন্ন জগতের। শেষ পর্যন্ত কষ্টই বয়ে আনে।”

এরপর কিছুদিন সায়মা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে। হুজুরের ঝাড়ফুঁকে আফরানের সাথে তার যোগাযোগ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়।

কিন্তু আজও সায়মা মাঝে মাঝে আক্ষেপ করে বলে –
“মানুষের কাছে সে ভয়ঙ্কর, কিন্তু আমার কাছে সে ছিল সত্যিকারের ভালোবাসা…”


👉 এটা লোককথা ও বাস্তব ঘটনার মিশেলে সাজানো কাহিনী। গ্রামবাংলায় এ ধরনের জিন ও মানুষের প্রেম নিয়ে অনেক গল্প প্রচলিত আছে।

তুমি কি চাও আমি এটাকে একটু ভৌতিক ধাঁচে লিখে দিই, নাকি রোমান্টিক ধাঁচে চালিয়ে যাই?

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post