নিক্সন চৌধুরীর ৭ মিনিট ২২ সেকেন্ড ভিডিও প্রকাশ

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের ৭ মিনিট ২২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওটি পোস্ট করেছেন জেলা ছাত্রলীগ নেতা আশিকুজ্জামান আশিক, যিনি নিক্সনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
ভিডিও বার্তায় নিক্সন চৌধুরী বলেন, ভাঙ্গার জনগণের ন্যায্য আন্দোলনে অংশ নেয়ার কারণেই তাকে ‘এক নম্বর আসামি’ করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, আন্দোলনে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকেও মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভাঙ্গার দুটি ইউনিয়ন—আলগী ও হামিরদী—অবৈধভাবে কেটে নিয়ে সালথা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে শুধু নৌকার ভোট কমানোর জন্য।’
নিক্সন আরো বলেন, তিনি তিনবার ‘জনগণের ভোটে’ নির্বাচিত এমপি ছিলেন এবং ভাঙ্গার উন্নয়নে কাজ করেছেন।
উপজেলা পরিষদের নতুন ভবন ও অডিটোরিয়ামের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি দাবি করেন, এসব তিনি হাসিনার উন্নয়ন ফান্ড থেকে এনেছিলেন। তবে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে সমর্থন করেন না বলেও জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাকে মামলা দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। ভাঙ্গার জনগণের জন্য আমি একশত মামলাও মাথায় নিতে রাজি আছি। তবে নীরিহ মানুষকে হয়রানি করবেন না।’
ভিডিও বার্তার শেষ দিকে তিনি আলগী ইউনিয়ন পরিষদের আটক চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবি জানান এবং পুলিশকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের সমালোচনা করেন।
নিক্সন চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের দু’টি ইউনিয়ন ফেরত দিন, নয়তো জনগণের আন্দোলন চলবে।’
ভিডিও বার্তা প্রকাশের পর উপজেলা বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, তারা বিষয়টি লোকমুখে জেনেছেন এবং নজরে এলে তদন্ত করে দেখবেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন নগরকান্দা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে চলমান আন্দোলন ইতোমধ্যেই সহিংসতায় রূপ নিয়েছে, যেখানে কয়েকটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভস্মীভূত হয়েছে।
Post a Comment