time
Welcome to Our Website!

কুঁচকিতে চুলকানি: কেন হয়, কমানোর উপায় কী?

 কুঁচকিতে চুলকানি: কেন হয়, কমানোর উপায় কী?

দেহের অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি অংশ কুঁচকি। সাধারণত এই স্থানটি আর্দ্র থাকে এবং ত্বকের সঙ্গে ঘন ঘন ঘর্ষণ হয়। কুঁচকিতে র‍্যাশ, চুলকানির মতো সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তবে লজ্জায় এড়িয়ে যান। বিষয়টিকে না এড়িয়ে সমাধানের চেষ্টা করা জরুরি।

কুঁচকি কী?
কুঁচকি (Groin) হলো মানুষের শরীরের ধড় ও উরুর সংযোগস্থলের একটি অংশ। এটি পিউবিক টিউবারকলের উভয়পাশে পেটের প্রাচীরের নীচের অংশ ও উরুর মিলিত স্থানে একটি ভাঁজ বা ক্রিজ তৈরি করে। কুঁচকিতে টান বা হার্নিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কুঁচকিতে র‌্যাশ ও চুলকানি হওয়ার কারণ:
বিভিন্ন কারণে শরীরের এই অংশটিতে চুলকানি হতে পারে। দেখা দিতে পারে ফুসকুড়ি। সম্ভাব্য কিছু কারণ চলুন জানা যাক-

ছত্রাক সংক্রমণ: কুঁচকিতে চুলকানি হওয়ার পেছনে দায়ী থাকতে পারে জক ইচ (Tinea cruris) নামের একটি সাধারণ ছত্রাক। এর সংক্রমণে কুঁচকিতে চুলকানি সৃষ্টি হয়।

একজিমা: এটি একটি ত্বকের প্রদাহ যা চুলকানি এবং ফুসকুড়ি সৃষ্টি করতে পারে।

সুগন্ধি পণ্য: লোশন বা সাবানে ব্যবহৃত সুগন্ধি র‌্যাশ তৈরি অন্যতম কারণ। এসব পণ্যে থাকে কড়া রাসায়নিক উপাদান বা সুগন্ধি যা ত্বকের সংবেদনশীল অংশে জ্বালা সৃষ্টি করে। ফলে লালচেভাব, চুলকানি ও ফুসকুড়ি দেখা দেয়।


ঘর্ষণ: ঘর্ষণের কারণেও উরুর ভেতরের অংশে অর্থাৎ কুঁচকিতে র‌্যাশ দেখা দেয়। বিশেষ করে যারা আঁটসাঁট পোশাক পরেন কিংবা ঘন ঘন চলাফেরা করেন তাদের এ সমস্যা বেশি হয়। আর্দ্রতা যেমন- ঘাম এই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে নিয়ে যায়। এতে ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়ে।

সংবেদনশীল ত্বক: সংবেদনশীলতার কারণেও কুঁচকিতে র‌্যাশ দেখা দেয়। বিশেষ করে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। তাপমাত্রার ওঠানামা ও আর্দ্রতা ত্বকের সুরক্ষা স্তরে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে ত্বকে জ্বালা সৃষ্টি হয়। যাদের ত্বক সংবেদনশীল তারা সাধারণত গরম অথবা আর্দ্র আবহাওয়াতে ঘনঘন র‌্যাশের সমস্যায় ভোগেন।

অপরিষ্কার রেজর ব্যবহার: অপরিষ্কার রেজর দিয়ে দেহের অবাঞ্ছিত লোম অপসারণ করলে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য অণুজীবের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। ফলে ত্বকে ছোট ছোট ‘বাম্প’ বা রক্তস্ফোট দেখা দেয়। কুঁচকিতে চুলকানির কারণ হতে পারে এটি।

আঁটসাঁট পোশাক: আঁটসাঁট পোশাক পরলে ত্বকে ঘর্ষণের সৃষ্টি হয়। এটি আর্দ্রতা ধরে রাখে। ফলে অণুজীবের বিস্তার ঘটে এবং জ্বালা ও র‌্যাশ দেখা দেয়। সিন্থেটিক তন্তু যেমন- পলেস্টার বা নাইলনের কাপড় ব্যবহারে ত্বকে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে না। ফলে সমস্যার তীব্রতা বাড়ে।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post