time
Welcome to Our Website!

বিএনপির ২০০ আসনে ‘প্রার্থী চূড়ান্ত’, বাকি একশোতে কী হচ্ছে?

 বিএনপির ২০০ আসনে ‘প্রার্থী চূড়ান্ত’, বাকি একশোতে কী হচ্ছে?

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুইশ আসনের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করছে বিএনপি। এরই অংশ হিসাবে গত রোব ও সোমবার সহস্রাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে মতবিনিময় করে দলটির হাইকমান্ড। দলীয় নির্দেশনা মেনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনি গণসংযোগে নেমেছেন। ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন হাইকমান্ডের বার্তা।

সূত্র মতে, বুধবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। এতে একক প্রার্থী নির্ধারণ করা নিয়ে আলোচনা হয়। খবর বিবিসির বাংলার।

দলীয় প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, তারা প্রাথমিকভাবে অন্তত ২০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করছেন। বাকি আসনগুলোর মনোনয়ন নিয়েও কাজ চলছে। এর মধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী ও জোট শরিকদের আসনও রয়েছে। তবে তফশিল ঘোষণার পর একক প্রার্থীর নাম চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করা হবে। এর আগে মনোনয়ন ফরম বিক্রি-জমাসহ সব প্রক্রিয়া শেষ হবে।

তারা আরও জানান, এখন যাদের প্রাথমিকভাবে একক প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হবে, তাদের কর্মকাণ্ডও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এসব প্রার্থীর মধ্যে যদি কেউ নিজ আসনে সক্রিয়ভাবে কাজ না করেন বা দলীয় নির্দেশনা মেনে না চলেন তাহলে তাদের বাদ দিয়ে নতুন করে ফের একক প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুইশ আসনের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করছে বিএনপি। এরই অংশ হিসাবে গত রোব ও সোমবার সহস্রাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীর সঙ্গে মতবিনিময় করে দলটির হাইকমান্ড। দলীয় নির্দেশনা মেনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনি গণসংযোগে নেমেছেন। ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন হাইকমান্ডের বার্তা।

সূত্র মতে, বুধবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। এতে একক প্রার্থী নির্ধারণ করা নিয়ে আলোচনা হয়। খবর বিবিসির বাংলার।

দলীয় প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, তারা প্রাথমিকভাবে অন্তত ২০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করছেন। বাকি আসনগুলোর মনোনয়ন নিয়েও কাজ চলছে। এর মধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী ও জোট শরিকদের আসনও রয়েছে। তবে তফশিল ঘোষণার পর একক প্রার্থীর নাম চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করা হবে। এর আগে মনোনয়ন ফরম বিক্রি-জমাসহ সব প্রক্রিয়া শেষ হবে।

তারা আরও জানান, এখন যাদের প্রাথমিকভাবে একক প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হবে, তাদের কর্মকাণ্ডও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এসব প্রার্থীর মধ্যে যদি কেউ নিজ আসনে সক্রিয়ভাবে কাজ না করেন বা দলীয় নির্দেশনা মেনে না চলেন তাহলে তাদের বাদ দিয়ে নতুন করে ফের একক প্রার্থী নির্ধারণ করা হবে।

এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল চলতি অক্টোবরের মধ্যেই দুইশ আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থীদের মধ্য থেকে একজনকে দলের প্রার্থী হিসেবে গ্রীন সিগন্যাল দেওয়া হবে। তবে বাস্তবে এখনও পর্যন্ত সেটা হয়নি।

আরও পড়ুন
বিএনপি না জামায়াত, কার সঙ্গে ভোট করবে এনসিপি?
বিএনপি না জামায়াত, কার সঙ্গে ভোট করবে এনসিপি?
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ অবশ্য বলেছেন, অতিদ্রুত এটা জানানো হবে।

‘দুইশ আসনে তো আমরা কমবেশি গ্রীন সিগন্যাল দিতে পারবো। বাকি একশো আসনেও আমরা কাজ শুরু করেছি।’

বাংলাদেশের রাজনীতিতে পাঁচই আগস্টের পটপরিবর্তনের পর এখন ভোটের মাঠে বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াত বছরখানেক আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত করে নির্বাচনি প্রচারণাতেও মাঠে নেমে গেছে।

আরও পড়ুন
জুলাই সনদের স্বাক্ষরিত কপি বদলে বিএনপির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে: রিজভী
জুলাই সনদের স্বাক্ষরিত কপি বদলে বিএনপির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে: রিজভী
কিন্তু বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্ত করতে দেরি করায় দলটি নির্বাচনের প্রচারণায় পিছিয়ে পড়ছে, এমন আলোচনা উঠেছিল। যদিও বিএনপি মনে করে তারা যথাসময়েই প্রার্থী ঘোষণা দিচ্ছেন।

বিশেষত: বাকি ১০০ আসনের প্রার্থীদের বিরোধ কিংবা একাধিক প্রার্থী থাকায় একক প্রার্থী ঘোষণার সময় অন্যরা যেন ক্ষুব্ধ হয়ে না ওঠেন কিংবা ঐক্যবদ্ধ থাকেন সে কারণেই সময় নেওয়া হয়েছে বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

‘এখানে আমাদের প্রত্যকেটা আসনে অনেক যোগ্য প্রার্থী আছে। তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। আমাদেরকে এগুলো মাথায় রেখেই কাজ করতে হয়েছে। যেন আগে থেকেই কোনো কোনো প্রার্থী দলীয় বিভক্তিতে জড়িয়ে না পড়েন।’

আরও পড়ুন
জোট নয়, একাই নির্বাচন করতে চায় এনসিপি
জোট নয়, একাই নির্বাচন করতে চায় এনসিপি
তিনি যোগ করেন, ‘তাছাড়া আমাদের একটা কৌশল আছে যে সবাই যেন মিলেমিশে কাজ করে। শেষদিকে আমরা বলবো যে, একজনকেই মনোনয়ন দিতে পারবো। বাকিরা বিভিন্নভাবে মূল্যায়িত হবে।’

বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনের জটিলতা শুধু অভ্যন্তরীণ নয়, জোটের সঙ্গেও আছে। যেসব আসনে কোন্দলের আশঙ্কা প্রবল এবং একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী আছে, সেসব আসনে এখনই প্রার্থী চূড়ান্ত করছে না বিএনপি। এছাড়া জোটের শরিকদেরও আসন দিতে হবে। সবমিলিয়ে এরকম আসন রয়েছে একশ। ফলে এই একশ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সময় নিচ্ছে বিএনপি।

গুলশানে মতবিনিময়ে বিএনপির সহস্রাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন। তাদের অনেকেই মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে আলোচনায় রয়েছেন, তারা হলেন-

চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) : উত্তর জেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, উপজেলার সাবেক আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) : কেন্দ্রীয় সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, উত্তর জেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর, উপজেলা আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মো. আজিম উল্লাহ বাহার, উপজেলার সাবেক সভাপতি ছালাউদ্দিন ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সাল মাহমুদ ফয়জী।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) : কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, উত্তর জেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, সাবেক এমপি মোস্তফা কামাল পাশা, উপজেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবু তাহের, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা বাবু ও সাবেক ছাত্রনেতা রফী উদ্দিন ফয়সাল।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) : কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আসলাম চৌধুরী ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী সালাউদ্দিন। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) : কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এসএম ফজলুল হক।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) : কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার ও জসিম উদ্দিন সিকদার।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) : বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, উত্তর জেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী, উপজেলা আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, উপজেলা সদস্য সচিব আবু আহমেদ হাসনাত।

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) : চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম, এসএম সাইফুল আলম ও আহমেদ উল আলম চৌধুরী রাসেল।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) : দক্ষিণ জেলার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক এম ইদ্রিস মিয়া, সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল, বিএনপি নেতা সৈয়দ শাদাত আহম্মেদ।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) : দক্ষিণ জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, সাবেক এমপি সরওয়ার জামাল নিজাম, জেলা সদস্য সচিব লায়ন মো. হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, বিএনপি নেতা এসএম মামুন মিয়া, জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) : নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম রাহী ও নুরুল আনোয়ার।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) : দক্ষিণ জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, লোহাগাড়া উপজেলার সাবেক আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন, দক্ষিণ জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, সাতকানিয়া উপজেলার সাবেক আহ্বায়ক জামাল হোসেন।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post