time
Welcome to Our Website!

ট্রলারে গৃহবধূ যেভাবে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার


ট্রলারে গৃহবধূ যেভাবে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকারমুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট থেকে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রলারে উঠে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। পরে এ ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পদ্মা সেতু উত্তর থানা পুলিশ।


আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 


মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, গতকাল বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে পদ্মা সেতু সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ শিকার করে আজ বৃহস্পতিবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত ওই তিনজন। পরে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. জামাল মোল্লা (২৩), ইয়ামিন মুন্সী (১৯) ও জব্বার শেখপুলিশ জানায়, গত রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জনৈক গৃহবধূ (২২) তার স্বামীসহ পদ্মা সেতু (উত্তর) থানায় হাজির হয়ে চারজন যুবক কর্তৃক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, ঘটনার সত্যতা যাচাই করে মামলা রুজু করে এবং আসামি গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করে।


পরদিন সোমবার পদ্মা নদীর পাড় হতে অভিযুক্ত জামাল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেয়া জবানবন্দির ভিত্তিতে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন ও জব্বারও ধরা পড়ে পুলিশের হাতে।


পুলিশ সুপার জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে আসামিরা জানান যে, ভুক্তভোগী গৃহবধূ পুরাতন মাওয়া ফেরিঘাট থেকে তার স্বামীর বাড়ি উত্তর চর জানাজাত সাকিনস্থ জালাল উদ্দিন সরকার কান্দি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষা করাকালে অভিযুক্ত আবু বকর সিদ্দিক ও জামাল মোল্লা'দ্বয় ভিকটিমকে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ট্রলারে উঠায়।


পথিমধ্যে অপর দুই অভিযুক্ত ইয়ামিন এবং জব্বার ট্রলারে ওঠে। সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে নদীপথে নির্জনতার সুযোগে ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক জনমানবহীন পদ্মা নদীর ডোমরাখালী চরে নিয়ে চারজন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষপরবর্তীতে অভিযুক্তগণ মাওয়া পুরাতন কোস্টগার্ড স্টেশনের পাশে ভিকটিমকে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ট্রলার থেকে নামিয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দিয়ে দ্রুত চলে যায়।


মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার আরও জানান, অভিযুক্ত ৩ জনই আদালতে দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় ব্যবহৃত নৌকা এবং আলামত হিসাবে একটি জিও ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং তার ব্যবহৃত জামাকাপড় জব্দ করা হয়েছে।


মামলার তদন্ত কার্যক্রম ও পলাতক আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।ণ করে। (১৮)।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post