ড. ইউনূসকে নিয়ে অস্বস্তি, তবে নতুন ইস্যুতে অস্থির ভারত
শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল, যেখানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থে বেপরোয়া ভাবে ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে।’’ সেই অরাজকতার পতন ঘটিয়েছে ‘জুলাই বিপ্লব’, দাবি নাহিদের। তাঁর দাবি, এনসিপি হবে একটি গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক ও জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল। দেশ এবং সমাজে সকল প্রকার বিভেদ ঘুচিয়ে ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য। নাহিদের কথায়, ‘‘আমরা এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ চাই, যেখানে প্রতিশোধের বদলে ন্যায়বিচার এবং পরিবারতন্ত্রের বদলে মেধা ও যোগ্যতার মানদণ্ড প্রতিষ্ঠিত হবে।’’ বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশাবাদী নাহিদ।
জুলাইয়ের গণ অভ্যুত্থানের জেরে গত ৫ অগস্ট হাসিনার সরকারের পতন হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তার পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ধাক্কায় ক্ষমতাচ্যুত হন হাসিনা। সেই ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছিলেন নাহিদ। তাঁর মুখেই সেই সময় শোনা গিয়েছিল ‘তুমি কে, আমি কে, বিকল্প, বিকল্প’ স্লোগানটি। শুক্রবার নাহিদ জানান, সেই বিকল্পের জায়গা থেকেই জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ।
এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ভারতীয় গনমাধ্যম আনন্দবাজার এর প্রতিবেদন অনুসারে, নাহিদদের নতুন দলে ঠাঁই পাচ্ছেন না জামায়াতের প্রাক্তনীরা বলে প্রচার করা হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর অন্যতম সমন্বয়ক তথা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে সদ্য পদত্যাগী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম নতুন দলের আহ্বায়ক হবেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা হবে। কিন্তু সেই দলের পদপ্রাপ্তি ঘিরে টানাপড়েন এখনও অব্যাহত। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, জামায়াত-ই-ইসলামীর (জামাত নামে যা পরিচিত) শিক্ষার্থী সংগঠন ছাত্র শিবিরের প্রাক্তন নেতাদের অনেকে নতুন দলে পদ পেতে চলেছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সে দেশের সংবাদমাধ্যম প্র থম আলোয় প্রকাশিত খবর জানাচ্ছে, আপাতত নতুন দলে ছাত্র শিবিরের প্রাক্তন নেতাদের ঠাঁই হচ্ছে না।
প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, নতুন দলের কার্যনির্বাহী কমিটিতে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, দু’টি সংগঠন থেকেই ৫০ শতাংশ করে প্রতিনিধি থাকবেন। ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর অন্যতম সমন্বয়ক তথা অন্তর্বর্তী সরকার থেকে সদ্য পদত্যাগী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম নতুন দলের আহ্বায়ক হবেন। নতুন দলের সাধারণ সচিব পদে জাতীয় নাগরিক কমিটি সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া মুখ্য সংগঠক এবং মুখপাত্র পদের জন্য মনোনীত হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক, সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লা। সারজিস জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গেও যুক্ত। আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখপাত্র এবং মুখ্য সংগঠকের পাশাপাশি নাহিদদের দলে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব নামে দু’টি পদ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর আগে প্রকাশিত একটি খবরে জানানো হয়েছিল, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আলি আহসান জোনায়েদ (ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রাক্তন সভাপতি)-এর নাম বিবেচনায় আছে। আর দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে আসতে পারেন জাতীয় নাগরিক কমিটির বর্তমান আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারি।
কিন্তু জোনায়েদ ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নতুন দলে যোগ দেবেন না। শুক্রবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলের আত্মপ্রকাশ কর্মসূচিতেও যাবেন না। ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আর এক প্রাক্তন সভাপতি রাফে সালমান রিফাত এবং সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রাক্তন সদস্য আরেফিন মোহাম্মদ হিযবুল্লাহও নতুন দলে থাকছেন না বলে জানা গিয়েছে। হিযবুল্লাহ ইতিমধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির সহ-মুখপাত্রের পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন।
Post a Comment