time
Welcome to Our Website!

রাতে ঘুমানোর আগে এই ১টি কাজ করলেই গ্যাস্ট্রিক থাকবে দূরে!

 

রাতে ঘুমানোর আগে এই ১টি কাজ করলেই গ্যাস্ট্রিক থাকবে দূরে!
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় অনেকেরই গ্যাস্ট্রিক বা বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। শুয়ে থাকার কারণে পাকস্থলীর অ্যাসিড সহজেই খাদ্যনালীতে ফিরে আসে, যাকে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বলা হয়। এটি ঘুমের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটায় এবং দীর্ঘমেয়াদে খাদ্যনালীর ক্ষতি করতে পারে।


তবে রাতে ঘুমানোর আগে একটি খুব সহজ কাজ করলেই এই সমস্যাটি অনেকাংশে দূর করা সম্ভব।

সমাধান: রাতের খাবার এবং ঘুমের মধ্যে সময়ের ব্যবধান রাখা
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, রাতে গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা দূর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো:

রাতে খাবার খাওয়া এবং বিছানায় ঘুমাতে যাওয়ার মধ্যে অন্তত ২ থেকে ৩ ঘণ্টার ব্যবধান রাখা।

কেন এটি কাজ করে?
হজমের সময়: খাদ্যনালী থেকে পাকস্থলী পর্যন্ত খাবার পৌঁছানো এবং প্রাথমিক হজম প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সাধারণত ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগে।

অ্যাসিডের নিয়ন্ত্রণ: যদি আপনি সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়েন, তবে পাকস্থলী বা উদর (stomach) অনুভূমিক অবস্থানে চলে আসে। এতে পাকস্থলীর অ্যাসিড মাধ্যাকর্ষণ বলের বিপরীতে সহজেই খাদ্যনালীতে উঠে আসে। কিন্তু, হজমের জন্য পর্যাপ্ত সময় পেলে, খাবারগুলো পাকস্থলীর নিচের দিকে চলে যায় এবং অ্যাসিড কম নিঃসৃত হয়।

স্পিঙ্কটারের কার্যকারিতা: পাকস্থলী এবং খাদ্যনালীর সংযোগস্থলে একটি রিং-আকৃতির পেশী (Lower Esophageal Sphincter- LES) থাকে, যা অ্যাসিডকে উপরে উঠতে বাধা দেয়। ভরপেট খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়লে এই পেশীটি আলগা হয়ে যায়। কিন্তু ২-৩ ঘণ্টার ব্যবধান দিলে LES দৃঢ়ভাবে বন্ধ থাকে, ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি কমে।

আরও কিছু সহায়ক টিপস:
রাতে তৈলাক্ত, মসলাদার এবং চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

ঘুমানোর আগে চা, কফি বা অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকুন।

বিছানার মাথার দিকটা ৬-৮ ইঞ্চি উঁচু করে শোয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন, যাতে মাধ্যাকর্ষণ অ্যাসিডকে নিচে রাখতে সাহায্য করে।

এই সাধারণ পরিবর্তনটি আপনার রাতের ঘুমকে কেবল শান্তিদায়কই করবে না, বরং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকেও দীর্ঘমেয়াদী মুক্তি দিতে পারে।

ট্যাগ
Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post