time
Welcome to Our Website!

বিএনপির একক প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত,যারা পেলেন চুড়ান্ত মনোনয়ন।

 বিএনপির একক প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত,যারা পেলেন চুড়ান্ত মনোনয়ন।দলীয় একক প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে বিএনপি। আসনভিত্তিক পাঁচটি জরিপের পাশাপাশি সাংগঠনিক টিমের মতামতের ভিত্তিতে একটি তালিকাও এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে।


এ তালিকা ধরে চলতি মাসে একক প্রার্থী ঘোষণা দিতে চায় দলটি। তালিকায় স্থান পাওয়া সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের মতামতও নেওয়া হচ্ছে। প্রার্থী ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট আসনে যেন কোনো রকম বিরোধ বা দ্বন্দ্ব দেখা না দেয়, সেজন্য সম্ভাব্য প্রার্থী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থী এবং জেলা ও মহানগরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি আজ রবিবার ও আগামীকাল সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিভাগভিত্তিক বৈঠক করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছেসূত্রমতে, বিভাগভিত্তিক এসব বৈঠকে মহসচিবসহ স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য উপস্থিত থাকবেন। জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, চলতি মাসের মধ্যে দলের পক্ষ থেকে কম-বেশি ২০০ নির্বাচনী আসনে একক প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়া হবে, যাতে করে তাঁরা নির্বাচনী মাঠে একক প্রার্থী হিসেবে কাজ করতে পারেন। এরই অংশ হিসেবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ঢাকায় ডাকা হয়েছে। কারণ, প্রতিটি আসনেই বিএনপির একাধিক যোগ্য প্রার্থী আছেন। তাঁদের মধ্যে সমঝোতা করেই আসনভিত্তিক একক প্রার্থী ঠিক করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নির্বাচনের মাঠে প্রতিটি আসনে সমপর্যায়ের একাধিক জনপ্রিয় নেতা এবার মনোনয়নপ্রত্যাশী। উপরন্তু দলে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও রয়েছে। এ কারণে অর্ধশতাধিক আসনে প্রার্থী নির্বাচন করা দলের শীর্ষনেতার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় এসব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য এবং সাংগঠনিক টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।


আরও পড়ুনঃ এইমাত্র পাওয়া: সরকারের জরুরি নির্দেশনা

দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেকটা সমঝোতাও করেছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনো অবস্থাতেই ভুল করতে চান না। এ কারণে শেষবারের মতো স্থায়ী কমিটির নেতাদের মতামত নিচ্ছেন তিনি। তিনি প্রয়োজনীয় খোঁজ-খবর নিয়েই মতামত দেবেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ আরেক নেতা বলেন, একক প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হলেও এটা হবে প্রাথমিক তালিকা। এলাকায় অবস্থান তৈরি করতে না পারলে কিংবা ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে সুবিধাবাদী নেতাকর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হলে তফসিল ঘোষণার পরও প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন আনা হবে। ফলে একক প্রার্থীর তালিকায় নাম থাকলেও তা যে কোনো সময় পরিবর্তন করে অন্য কোনো জনপ্রিয় নেতাকে দেওয়া হতে পারে।


বিএনপি সূত্রে জানা যায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান একক প্রার্থী তালিকায় ৫ শতাংশ নারী নেত্রীদের স্থান দিতে চান। সেই তালিকায় সানজিদা ইসলাম তুলি, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, শামা ওবায়েদ, নিলোফার চৌধুরী মনি, তাহসীনা রুশদীর লুনা, কনকচাঁপা, সাবেরা নাজমুল মুন্নী, ডা. সানসিলা জেবরীন, সুলতানা আহমেদ, নায়াবা ইউসুফ, আফরোজা খানম রিতা, শাম্মী আখতার, সালিমা তালুকদার আরুনী, হাসিনা আহমেদ প্রমুখ রয়েছেন। তবে এক পরিবারের একজন প্রার্থীÑ এ নীতির পরিবর্তন হলে অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, আফরোজা আব্বাস, রোমানা মাহমুদসহ আরও বেশ কয়েকজন নারীনেত্রীকে প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, এবার নির্বাচনে ৫ শতাংশ আসনে নারীনেত্রীদের প্রার্থী করা হবে। বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা জানান, যাঁদের প্রার্থী হিসেবে মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না, তাঁদের দলে বা সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এদিকে আসনভিত্তিক সৃদৃঢ় ঐক্য চান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ জন্য নির্বাচনি জরিপে এগিয়ে থাকা জনপ্রিয় সম্ভাব্য প্রার্থী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করা ধানের শীষের প্রার্থী এবং বিএনপির জেলা ও মহানগরের সভাপতি অথবা আহ্বায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক অথবা সদস্য সচিবকে ঢাকায় ডাকা হয়েছে।


আরও পড়ুনঃ সচিবালয় অভিমুখে ইশরাক সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

এরই মধ্যে বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা ফোনে তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন বৈঠকে অংশ নেওয়ার বিষয়টি। বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা জানান, বিএনপির প্রার্থীদের বিজয়ী করতে তাঁদের পক্ষে সংশ্লিষ্ট আসনের ভোট মেকারদের ঐক্যবদ্ধ করাই হচ্ছে এ বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য। এর আগে, নেতাকর্মীদের আসনভিত্তিক ঐক্য গড়ার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার চট্টগ্রাম, রংপুর, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ বিভাগের সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, সম্ভাব্য জনপ্রিয় প্রার্থী, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করা ধানের শীষের প্রার্থী এবং বিএনপির জেলা ও মহানগরের সভাপতি অথবা আহ্বায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক অথবা সদস্য সচিবদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন তিনি।


আরও পড়ুনঃ এবার জরুরি ঘোষণা সেনাপ্রধানের।

একইভাবে আগামীকাল সোমবার ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও সিলেট বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারেক রহমান। বিএনপি নেতারা বলেন, গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রতিটি সাংগঠনিক বিভাগের বৈঠক পৃথক পৃথক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, যাঁরা ভোটের মাঠে গুরুত্বপূর্ণ, তাঁদের সঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৈঠক করবেন।


অন্যদিকে বরিশাল বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে জরিপে যাঁরা এগিয়ে আছেন, তাঁদের সঙ্গে এ বৈঠক হবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা বলেন, এ বৈঠকে যাঁরা যোগ দেবেন, তাঁদের অনেকেই এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ রকম দুই নেতা বলেন, তাঁদের কাছ থেকে জাতীয় পরিপত্র ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি নেওয়া হয়েছে। দলের ঘনিষ্ট সূত্র জানা যায়, যাঁদের মনোনয়ন নিশ্চিত করা হবে, নানা উপায়ে তাঁদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে ঋণখেলাপিসহ প্রার্থী বাতিলের মতো কোনো বিষয় আছে কি না, সেসব বিষয়েও বিশেষভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুনঃ।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post